প্রতিনিধি 30 October 2025 , 11:39:38 প্রিন্ট সংস্করণ

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতা ও অসহায়ত্বের সঙ্গে লড়াই করা বগুড়ার দুই দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া জেলা যুবদলের উদ্যোগে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত এক যুবদলকর্মীকে মালপত্রসহ একটি দোকানঘর এবং গৃহহীন এক প্রতিবন্ধী নারীকে বাড়ি ও টিউবওয়েল উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়ার গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলায় এই মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, বগুড়ার গাবতলী লাংলুহাট এলাকার যুবদলকর্মী মতিয়ার রহমান প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে, সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় এলাকার বাসিন্দা মমিরন বেওয়া ছিলেন গৃহহীন এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী। চরম দুর্দশার মধ্যে থাকা এই দুই ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নেন তারেক রহমান।
যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রধান অতিথি হিসেবে উপকারভোগীদের হাতে এসব উপহার তুলে দেন। বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

যুবদলের পক্ষ থেকে অসুস্থ মতিয়ার রহমানকে তার জীবিকা নির্বাহের জন্য মালপত্রসহ একটি দোকানঘর দেওয়া হয়। অপরদিকে, গৃহহীন মমিরন বেওয়াকে দেওয়া হয় একটি নতুন বাড়ি। বাড়িটিতে গোসলখানা নির্মাণসহ যুবদলের উদ্যোগে বসানো হয়েছে নিরাপদ টিউবওয়েলও। এই দুজনকে উপহার দেওয়াই নয়, একই দিনে লাংলুহাট এলাকার কয়েক শ দুস্থ মানুষের মাঝে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কম্বলও বিতরণ করা হয়।
উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বগুড়ার গাবতলী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুণ্যভূমি। রাজনৈতিক কারণে এই এলাকার মানুষ সুদীর্ঘকাল বৈষম্যের শিকার হয়ে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে সেই দুর্দিন কেটে গেছে। তারেক রহমানের হাত ধরেই বগুড়াসহ সারা দেশের মানুষের ভাগ্যের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।’ তিনি সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
দোকানঘর উপহার পাওয়া যুবদলকর্মী মতিয়ার রহমান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে খেয়ে না খেয়ে যখন দিন কাটাচ্ছিলাম, তখন কখনো ভাবিনি যে আমাদের অভিভাবক তারেক রহমান আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। এই দোকান দিয়ে আগামীতে সচ্ছলতার মুখ দেখার প্রত্যাশা করছি।’
অন্যদিকে, সোনাতলার উপকারভোগী মমিরন বেওয়া কথা বলতে না পারলেও তার স্বজনরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানান, একজন প্রতিবন্ধী ও অসহায় নারী মমিরন আজ নতুন করে বাঁচার পথ খুঁজে পেলেন। মমিরনের নিজের একটি বাড়ি হবে, তা ছিল তাদের চিন্তার অতীত।
এই মানবিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশনায় তারা সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তৃণমূল থেকে নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় যদি কেউ নতুন জীবনের পথ খুঁজে পান, তবে সেটিই হবে তাদের জন্য প্রশান্তির।