প্রতিনিধি 15 October 2025 , 9:09:06 প্রিন্ট সংস্করণ

‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবেই। ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই অংশ। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি,…ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বার বার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে’। জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ বিষয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য তিনি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন। আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো’। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান।

জুলাই সনদ রচনাকে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র–জনতার যে অভ্যুত্থান, এই অভ্যুত্থানের এটাই আমার মনে হয় পরবর্তী অধ্যায় সঠিকভাবে রচিত হলো।… যে সংষ্কারের কথা আমরা মুখে বলে যাচ্ছিলাম, আপনারা সেই সংষ্কার, প্রকৃতপক্ষে যে সংস্কার হবে তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না। এটা এমন একটা ঘটনা যে ঘটনার ভেতরে থেকে এর বিশালত্ব বোঝা যাচ্ছে না। মাসের পর মাস বৈঠক করে হতাশা এসেছে, মনে হয়েছে এটা হয়তো অসমাপ্ত থেকে যাবে। তবে এটা অসমাপ্ত থেকে যায়নি’।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাবে এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ যারা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে।…জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে’। এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সাথে সংলাপে অংশ নেয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।