প্রতিনিধি 4 October 2025 , 6:50:15 প্রিন্ট সংস্করণ

ইসরায়েলি নৌবাহিনী যখন ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই সুযোগে সমুদ্রে গিয়ে বিরল এক মাছের ঝাঁক ধরেছেন গাজার জেলেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ডজনখানেক জেলে একসঙ্গে ভারি জাল টেনে তীরে তুলছেন, আর তীরে থাকা লোকজন উল্লাস করছে। খবর দ্য সিয়াসাত ডেইলি
বুধবার (১ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনী ফ্লোটিলাটি আটক করে। এতে ৪০টিরও বেশি দেশের ৪৫০ জনের বেশি মানবাধিকারকর্মী ছিলেন, যারা অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। নৌবাহিনী ওই অভিযানেই ব্যস্ত থাকায় জেলেরা এ সুযোগে সমুদ্রের গভীরে যেতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গাজার বাসিন্দারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ফ্লোটিলার উপস্থিতিতে ইসরায়েলি টহল কিছু সময়ের জন্য মনোযোগ হারায়, যা জেলেদের জন্য ছিল বিরল সুযোগ। অনেকে মাসের পর মাস বসে থেকে তারপর জাল ফেলেছেন নির্ভয়ে, গুলির ভয়, আটক হওয়ার আশঙ্কা বা নৌকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার চিন্তা ছাড়াই।


ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই একে ‘অবরোধের মধ্যেও জীবনের প্রতীক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘এটা গাজাবাসীর সহনশীলতার প্রমাণ’, আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছেন ‘কেন এখনো গাজার জেলেদের স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে দেয়া হয় না?’
২০০০ সাল থেকে ইসরায়েল গাজার সমুদ্রসীমায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। বর্তমানে জেলেদের চলাচল সীমিত মাত্র ছয় নটিক্যাল মাইলের মধ্যে, যেখানে ওসলো চুক্তি অনুযায়ী সীমা থাকার কথা ২০ মাইল।
গাজার কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধ গাজার মাছ ধরার খাতকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ৬০০ টন মাছ উৎপাদন বন্ধ হয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। প্রায় ৪ হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে গাজার খাদ্য সংকট আরও গভীর হয়েছে, যেখানে একসময় মাছ ছিল মানুষের প্রধান প্রোটিনের উৎস। এ ঘটনায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য জানানো হয়নি।