প্রতিনিধি 2 October 2025 , 6:02:51 প্রিন্ট সংস্করণ

৬ দিনের রিমান্ড শেষে নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএম কবিরুল হক মুক্তিসহ ২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে আলোচনায় আসেন। এ ঘটনায় গুলশান থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাহাবুব হোসাইন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন। এ দিন কারাগারে পাঠানো অপর আসামি হলেন-কার্যক্রম নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. মোজাম্মেল হক (৬৭)। এর আগে ২৫ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে গুলশান থানা পুলিশ।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে গুলশান থানার ডা. ফজলে রাব্বী পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে সেতুর উপর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক স্লোগান দেয়। এ সময় রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে বিক্ষোভকারীরা। তখন আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, কবিরুল হক মুক্তি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কলস প্রতীকেবিজয়ী হন। পরে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত ৩ টি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য হয়েছেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামিদপুর ইউনিয়নের হাসিম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।