
প্রতিনিধি 5 November 2025 , 6:59:13 প্রিন্ট সংস্করণ

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও (৫ নভেম্বর) শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের ৪ দিনই দরপতন হলো শেয়ারবাজারে। ফলে ৪ মাস পর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। কিন্তু লেনদেনের সময় ১০ মিনিট পার হতেই বাজারের চিত্র বদলে যায়। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৫ কোটি ৪৯ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫৩ কোটি ৫৭ টাকা।

এদিকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৪টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪টির দাম কমেছে এবং ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বুধবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে গত ৮ জুলাইয়ের ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ হাজারের নিচে নামলো। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২১টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।