
প্রতিনিধি 3 November 2025 , 3:44:34 প্রিন্ট সংস্করণ

পূর্ব ঘোষিত ৫ দফা দাবি আদায়ে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮টি দল।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অফিসে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আল্লামা মামুনুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলাম তাতে হঠাৎ করে একটি দল বিরোধিতা করছে। আমরা আশা করি তারা তাদের দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে গণভোট আগে আর পরে করে লাভ নেই। বরং গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ নির্বাচনের দিন হ্যাঁ বা না ভোটে কারও মনোযোগ থাকবে না।
মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। তবে জুলাই সনদ নিয়ে দেশের মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিলো এবং নতুন বন্দোবস্তের স্বপ্ন এখনো অধরা।

তিনি বলেন, আমাদের আটটি দলের ৫ দফা দাবিতে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই পৃথকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট করতে হবে। আরপিও সংশোধন করা হলে আমরা সেটি মানবো না। অর্থাৎ আরপিও আগের মতোই রাখতে হবে। এগুলোই এখন আমাদের মূল দাবি।
তিনি আরো বলেন, ৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার লক্ষ্যে গণমিছিল করা হবে। আশা করি আলোচনার ভিত্তিতে সব রাজনৈতিক দল সমাধান করতে পারব এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমে আগামী নির্বাচন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর), মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জামায়াতের এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, নেজামী ইসলাম পার্টির মুফতি হারুন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
এর আগে সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন আটটি দলের শীর্ষ নেতারা। দলগুলোর মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টি।