প্রতিনিধি 2 November 2025 , 12:27:25 প্রিন্ট সংস্করণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা আমাদের বক্তব্যগুলোই জনসম্মুখে প্রকাশ করছি। এখন পরবর্তী পর্যায়ে কী পদক্ষেপ হবে, তার জন্য আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের মূল যে কথা, সেটা হলো একটিই- আমরা প্রায় ১৬ বছর একটা সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা সেই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনটা আগস্টের ছাত্র-জনতার যে আন্দোলনের ফসল, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার… তো আমরা সবাই তাদের উপর আস্থা-বিশ্বাস রাখি, তারা যেন একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন জাতির সামনে উপহার দিতে পারে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস দেশে-বিদেশে এবং এমনকি দুইদিন আগেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যে, যথাসময়ে নির্বাচন হবে। এই যথাসময়ে নির্বাচনের আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা চলছে, আমি আশা করব যে সরকার এগুলো অমীমাংসা করবে।

রবিবার সকালে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যেহেতু একটা সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন চাই, তাই হয়তো যেভাবে প্রতিবাদ করার কথা আমাদের পক্ষ থেকে, আমরা সেভাবে প্রতিবাদ করছি না। কারণ আমরা যদি প্রতিবাদ করি বা আমরা যদি মাঠে নামি, তাতে সরকার টিকে থাকবে কি না সন্দেহ। আর সরকার যদি টিকে না থাকে তো বাংলাদেশের নির্বাচন অনিশ্চিত হবে আর অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আসতে পারে। তাই অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা যাতে বিরাজমান থাকে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চাই এই সরকারের মাধ্যমেই সম্পন্ন হোক।
তিনি বলেন, জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে সঠিকভাবে উপস্থিত হয়, সেখানে কোনো ধরনের নির্বাচন ভণ্ডুল করার সুযোগ থাকে না। কারণ জনগণ এটা রুখে দাঁড়াবে।