প্রতিনিধি 19 October 2025 , 6:09:44 প্রিন্ট সংস্করণ

গত ৮ অক্টোবর ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ প্রবাসীর মরদেহ শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ৭জন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং অপর একজন রাউজান উপজেলার চিকদাইর গ্রামের বলে জানা গেছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে সাগরপথে চালু হওয়া স্পিডবোটে ৭ জনের মরদেহবাহী কফিন নিয়ে যাওয়া হয় নিজ এলাকায়। চোখের সামনে একসঙ্গে এত লাশ, স্বজনদের আহাজারি, কান্নায় ভিজেছে ঘাটপাড়ের মানুষ, নৌযানের মাঝিমাল্লা এবং গ্রামবাসী আর দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যাওয়া লোকজন।

নিহত ৮ জন হলেন- সন্দ্বীপের মোহাম্মদ আমীন (৫০), মো. সাহাবুদ্দিন (২৮), মো. বাবলু (২৮), মো. রকি (২৭), মো. আরজু (২৬), মো. জুয়েল (২৮) ও মোশারফ হোসেন (২৬) এবং রাউজান উপজেলার চিকদাইর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন (২৮)।
জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর ওমানের ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় ৮ প্রবাসীকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা ঘটনাস্থলেই নিহত যান। মোহাম্মদ আমীনের নেতৃত্বে তারা সবাই সাগরে মাছ ধরার পেশায় ছিলেন। সেদিনও সাগরে মাছ শিকার করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার ১০ দিন পর শনিবার রাতে তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল গণমাধ্যমকে জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের লাশ চট্টগ্রামে পৌঁছে। নিহতদের স্বজনেরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাশ বুঝে নেন। এ সময় বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারিতে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।