প্রতিনিধি 15 October 2025 , 7:46:09 প্রিন্ট সংস্করণ

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা ৬৩০ কোটি ডলার, যা আগের মাস আগস্টের তুলনায় ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক অর্থনৈতিক সূচক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলত ভোগ্যপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, কাঁচামাল ও সরকারি সার আমদানির জন্য এলসি খোলা বেড়েছে। এদিকে ২০২৫ সালের আগস্টে আমদানিকারকরা ৫ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছিলেন। সেপ্টেম্বরে এলসি খোলার এই বৃদ্ধি ৮ মাস পর আমদানি কার্যক্রমে উত্থান ঘটালেও, তা এখনো ২০২৫ সালের জানুয়ারির ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের আগস্ট ও ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এলসি খোলার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। এবারের সেপ্টেম্বরে মূলত ভোগ্যপণ্য, খাদ্যদ্রব্য, কাঁচামাল ও সরকারি সার আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি সচল রাখতে মাসিক আমদানিতে আরো ২ বিলিয়ন ডলার যোগ হওয়া প্রয়োজন।
সম্প্রতি, দেশের শীর্ষ ২০ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আগামী রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে যথেষ্ট পরিমাণ এলসি খোলার নির্দেশ দেন। তিনি ব্যাবসায়িক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহের আশ্বাসও দেন।