নিজস্ব প্রতিবেদক 7 September 2025 , 9:44:00 প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যাংকিং সমস্যার কারণে প্রায় ৪০০টি পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সরকারের নীতি সহায়তা পেলে এই কারখানাগুলো পুনরায় চালু হওয়ার মাধ্যমে অতিরিক্ত ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ব্যাংকিং সমস্যা নিয়ে, সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে-বিজিএমইএ।
জানা গেছে, সভায় খেলাপি ঋণ নীতিমালা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সার্কুলারের অধীনে খেলাপি ঋণ নীতিমালার মেয়াদ ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব করেন। তারা জানান, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এছাড়া, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
ফোর্সড লোন ও মামলার বিষয়ে বলা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত কারণে ফোর্সড লোনের শিকার হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান চেক ডিজঅনার এবং অর্থঋণ মামলার মতো জটিলতার শিকার হচ্ছে, যা তাদের কার্যক্রমকে আরও বাধাগ্রস্ত করছে। তারা এ পরিস্থিতি নিরসনে-বিজিএমইএ বোর্ডকে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ৭০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এতে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ এবং সংগঠনটির এক্সিট পলিসি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম এবং ওয়ান স্টপ সেল সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সদস্যরা আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতি সহায়তা দিচ্ছে, তা যেন শুধু বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং, ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোও যেন এই সুবিধা পায়, সে ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।