প্রতিনিধি 8 September 2025 , 9:01:00 প্রিন্ট সংস্করণ
নেপালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ও সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে অনেকের অবস্থা এখনো আশংঙ্কাজনক। জানা গেছে, ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার ভয়াবহ বিক্ষোভে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও শত শত বিক্ষোভকারী।
সম্প্রতি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার ফেসবুক, ইউটিউব এবং এক্সসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখন দেশটির অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন জেলায় কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে দেশটির পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া তরুণ এক বিক্ষোভকারী অন্যদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভেতর থেকে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জনতার আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে।
নেপালের ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে গণমাধ্যমকে বলেছেন, হাসপাতালটিতে ৭জন বিক্ষোভকারীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসপাতালে আসা আরও ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের প্রত্যেকের মাথা ও বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। সেখানে আরও ২০ জনের বেশি চিকিৎসাধীন আছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতি দমনের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
অপরদিকে, কাঠমান্ডু পোস্ট বলেছে, সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে রাজধানীর বানেশ্বরে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। জেন জি প্রজন্মের এই বিক্ষোভে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন।